রাজধানীর উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৩৬ শিক্ষার্থী দগ্ধ হয়ে ঢাকা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছে। তাদের মধ্যে অতিমাত্রায় দগ্ধ হয়েছে ১২ জন, ৭ জন আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
সোমবার (২১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডাক্তার শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বার্ন ইন্সটিটিউটের তথ্যমতে, দগ্ধদের সবার বয়স ৯ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে আশরাফুল ইসলামের ১৫ ভাগ, রোহান ৫০ ভাগ, শ্রেয়া ৫ ভাগ, কাব্য ২০ ভাগ, চাঁন মিয়া ৪০ ভাগ, ইউশা ৬ ভাগ, মেহেরিন ৪ ভাগ, রুপি বড়ুয়া ৬ ভাগ, তাসমিয়া ৫ ভাগ, ইমন (জানা যায়নি), জয়না ৮ ভাগ, সায়েবা ৮ ভাগ, পায়েল ১০ ভাগ, কাফি ১০ ভাগ, মুনসুরা ৫ ভাগ, আলভিনা ৫ ভাগ, নিলয় ১৫ ভাগ, মাসুম ৬০ ভাগ, আয়েন ৬০ ভাগ, মাহতাব ৪০ ভাগ, আরিয়ান ৫৫ ভাগ, মকিন ৬২ ভাগ, আবির ৯০ ভাগ, আনিজন ১০০ ভাগ, নাজিয়া ৮০ ভাগ, মেহেরিন চৌধুরির শরীরের ১০০ ভাগ দগ্ধ হয়েছে।
এছাড়াও আইসিইউতে আছে নাফিস, শামীম, শায়ান ইউসুফ, মাহিয়া, আফনান ফাইয়াজ এবং সামিয়া। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
সোমবার দুপুর ১টার পর রাজধানীর উত্তরায় দুর্ঘটনায় পড়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে এবং বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে বহু স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা গেছে। যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরপর উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। উত্তরাসহ আশপাশের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হতাহতদের উদ্ধার করা শুরু করে। পরে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় বিজিবি ও সেনাবাহিনী। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে হতাহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় দগ্ধ অন্তত ৫০ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। যারা সবাই গুরুতর দগ্ধ হয়েছে। এছাড়া উত্তরা এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে আরও বহু দগ্ধ ও আহত শিক্ষার্থী ভর্তি আছে।
দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা কত তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে বিকেল ৫টার দিকে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে এ ঘটনায় ১৯ জন নিহত হয়েছে।